এফডিসিতে আগুন, পোড়ানো হলো এমডির কুশপুত্তলিকা

তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্রের ১৭ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারই অংশ হিসেবে ‘কুশপুত্তলিকা পোড়ানো’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ছিলো। এদিন চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এ কারণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ চান তারা।

এদিকে এমডিকে এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না- আন্দোলনকারীদের এমন ঘোষণার মধ্যেই এফডিসিতে ঢুকে পড়েন নুজহাত ইয়াসমিন।

আর তাই ১৭ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেলা ১২টার পর পরিচালক সমিতির সামনে এমডির কুশপুত্তলিকা পোড়ায় তারা।

১৭ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে উত্তাল এফডিসি। কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর সময় এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন এমডি নুজহাত ইয়াসমিন।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের এফডিসিতে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি অপমানজনক দাবি করে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ১৮ সংগঠনের পক্ষে পীরজাদা শহীদুল হারুনকে চলচ্চিত্র থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান।

টেলিভিশন অভিনয় শিল্পী সংঘও পীরজাদা হারুনকে নাটকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন।

সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘পীরজাদা শহীদুল হারুন দল পাকিয়ে আমাদের ১৭ সংগঠনের সদস্যদের এফডিসিতে ঢুকতে দেয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় নিজে আমাদের প্রবেশের ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন। তিনি তেজগাঁও জোনের ডিসিকেও এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন যেন আমরা ঢুকতে পারি।

এ কথা জেনেই ১৭ সংগঠনের কার্ডধারী সদস্যরা এফডিসিতে এসেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন সকালে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পীরজাদা হারুন এবং এফডিসির এমডি মিলেই নির্বাচনে চক্রান্ত করতে আমাদের ঢুকতে দেননি। তাই আমরা এফডিসির এমডিরও অপসারণ চাই।’

উল্লেখ্য, অপমানের বদলা নিতে তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্রের ১৭ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারই অংশ হিসেবে ‘কুশপুত্তলিকা পোড়ানো’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।