চুয়াডাঙ্গায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ১১

চুয়াডাঙ্গায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পুলিশপার্ক লেনের একটি বাসা থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশন এলাকার মৃত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান কাজল। তিনি জানান, বুধবার রাতে শহরের পুলিশ পার্ক লেনের একটি বাসা থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় জামায়াত, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১ নভেম্বর) রাতে জেলার আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, কালিদাসপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জামির আলী (৫৫), আলমডাঙ্গা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনারুল ইসলাম (৪২), জেলা জামায়াতের রোকন শাহজান আলী (৪৩), জেলা যুবদল সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান (৪৮), ডাউকি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মেহেদী হাসান (৪৮), হারদি ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হাবিবুর রহমান (৬৫), হারদি ইউপির জামায়াতের রোকন জুবায়ের বিশ্বাস, কুমারী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি আনারুল ইসলাম (৩৭), কুমারী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সদস্য মুরাদ আলী (৩৬), কুমারী ইউপির জামায়াত সদস্য নুর ইসলাম (৫৮)।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের শ্যামপুর গোপী বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়েরপূর্বক বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।