জবির শিক্ষার্থী বাসে আগুন

মিরপুর ১২ থেকে ছেড়ে যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনির্বাণ বাসে চলন্ত অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাসের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত দেখা যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রবিবার সকাল ৬.৫০ টায় মিরপুর ১২ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দ্যেশ্যে বাসটি ছেড়ে যায়। বাস তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ সামনের অংশে আগুন দেখতে পায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে গেলে তারা হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে নেমে যায়। প্রায় ৫ মিনিট পরে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে বাসটি আবার ছেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাসে ত্রুটি থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের এই বাসেই প্রতিদিন মিরপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। বেশ কয়েকবার বলার পরও নতুন বাস দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অনির্বাণ বাসের চালক মো. আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘ইঞ্জিন কভারে থাকা ফোম ছুটে গিয়ে ইঞ্জিনের উপর পড়ে, এতে আগুন ধরে যায়। আমি দেখার সাথে সাথে বাস থামিয়ে, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করি।’

বাসের যাত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবাব বলেন, ‘বাস পরিবর্তনের জন্য কয়েকবার পরিবহন অফিসে বলা হলেও তারা নতুন বাস দেয়নি। আজ সকালে বাসে আগুন ধরে।’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান ইমন বলেন, ‘অনেক সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাস মাঝ রাস্তায়ই থেমে যায়। বাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক থাকা উচিৎ।’

অন্যদিকে পরিবহন অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর কারণে ছেলেদের প্রায়ই বাসের গেটে ঝুলে যাতায়াত করতে হয়, যা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

বাসটি পরিদর্শন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমি এখন যতটুকু দেখলাম গাড়িটার পরিবর্তন জরুরি। আমি এটা নিয়ে স্যারের সাথে কথা বলছি, অফিস থেকে বিআরটিসির সাথে কথা বলবে, আশাকরি বাস পরিবর্তনের ব্যপারে ভালো একটা ফলাফল আসবে।’

প্রসঙ্গত, এর পূর্বেও চলন্ত অবস্থায় বাসের চাকায় আগুন, বাস থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং বাসের চাকা খুলে যাওয়াসহ কয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন বাসে যাতায়াত করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।