আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি সালেহ আহমাদ

ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম। সে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী ঢাকার শিক্ষার্থী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়ে গত শনিবার জমকালো আয়োজনের মাধ্যদিয়ে তা সমাপ্ত হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মাদ মাহদী ইসমাইলী, শিক্ষা মন্ত্রী ইউসুফ নুরী ও ইসলামীক দাওয়া সেন্টারের প্রধান সৈয়্যদ মাহদী খামুশীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ।

জানা গেছে, গত আগস্টের শেষদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় ১৩ বছর বয়সী হাফেজ তাকরীম বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। প্রথমধাপে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ১৯০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ দেশের সেরা প্রতিযোগীর মাঝে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সালেহ আহমাদ তাকরীম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। এর আগে ২০২০ সালের রমজানে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সে।

হাফেজ তাকরীমের জন্ম টাঙ্গাইলে ২০০৮ সালে। পিতা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদ্রাসা শিক্ষক ও মা গৃহিণী। তার এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মারকাযু ফয়জিল কোরআনের প্রিন্সিপাল, গুলশান সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা গত দু’বছর কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়া আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে চূড়ান্ত প্রতিনিধিত মনোনীত হলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
সূত্রমতে, হিফজ বিভাগের পাশাপাশি কিতাব বিভাগেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর কিতাব বিভাগের নাহবেমির ও শরহে বেকায়া জামাতের ৩০ জন ছাত্র বেফাক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২১জন মুমতাজসহ ১৪জন মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন