ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তরের সুযোগ

সারা বিশ্বের মেধাবীদের লক্ষ্য থাকে বিদেশে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়ার। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা নেই। আর যদি সেই বৃত্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট তবে তো কথাই নেই। এই বৃত্তি একদিকে যেমন মর্যাদার অন্যদিকে নানা সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। প্রতিবছরই ফুলব্রাইট স্কলারশিপ দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৩-২৪ সেশনে স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার। এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত।এই স্কলারশিপের আওতায় স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কনিষ্ঠ অনুষদ সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন ও এনজিওতে কর্মরত কনিষ্ঠ থেকে মধ্য-পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ স্কলারশিপের জন্য প্রাধান্য পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস, সোশ্যাল সায়েন্সেস, হিউম্যানিটিস, বিজনেস, ইকোনোমিকস, পাবলিক পলিসি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, আরবান প্ল্যানিং দ্য আর্টস, সাইকোলজি ও সিকিউরিটি স্টাডিজ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনে ফুলব্রাইট বৃত্তি দেওয়া হবে।

‘ফুলব্রাইট ফরেইন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম’ এর আওতায় বিশ্বের ১৫৫টি দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান।সুযোগ-সুবিধাসমূহ:

* জে-১ ভিসার সহায়তা।
* বিমানে আসা-যাওয়ার খরচ।
* টিউশন ফি।
* থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য মাসিক উপবৃত্তি।
* বইপত্র কেনার জন্য ভাতা।
* স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা।
* ভ্রমণ ও লাগেজ ভাতা।

আবেদনের যোগ্যতা:

* বাংলাদেশের স্বীকৃত সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলসহ ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।
* আগে কোনো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেননি কিংবা বর্তমানে আমেরিকায় কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি নন।
* বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশ থেকে আগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেননি (তবে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন)।
* যে বিষয়ে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক/ সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
* ইংরেজিতে সাবলীল ও পারদর্শী হতে হবে। টোফেল আইবিটিতে ন্যূনতম ৯০ কিংবা আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম ৭ স্কোর থাকতে হবে।
* সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
* আবেদনের সময় বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র:

* অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র।
* তিনটি সুপারিশপত্র।
* একাডেমিক রেকর্ড–বিষয়ক তথ্যাদির ফরম (অনলাইন আবেদন সাইটে পাওয়া যাবে)।
* টোফেল/ আইইএলটিএসের স্কোর
* যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা জিআরই (GRE) কিংবা জিম্যাট (GMAT) স্কোর থাকাও আবশ্যক। যদি কোন আবেদনকারী ইতিমধ্যে জিআরই কিংবা জিম্যাট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসংক্রান্ত তথ্য অনলাইন আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

অনলাইন আবেদন করা যাবে। আবেদন ফরম পেতে ক্লিক করুন এ লিংকে। আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে একটি লগইন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন। আরো বিস্তারিত জানতে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানার ই-মেইলে (sultanaR1@state.gov) যোগাযোগ করা যেতে পারে।