ঢাবির টিএসসিতে নামাজ পড়লেন ছাত্রীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) যোহরের নামাজ পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরের পর নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানের এক পাশে নামাজ আদায় করেন তারা।

এর আগে ছেলেদের নামাজের স্থানের এক পাশে পর্দা দিয়ে নামাজের স্থান তৈরি করে নেন তারা। এ নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামাজের স্থান তৈরি করে দিতে ১০ দিনের সময় চাওয়া হলেও তাতে আপত্তি জানান তারা।

এই ছাত্রীদের দাবি, টিএসসিতে ছেলেদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বিভিন্ন কর্মসূচিসহ নানাবিধ কারণে ছাত্রীরা টিএসসিতে অবস্থান করেন। এছাড়াও রমজান মাসে টিএসসিভিত্তিক সংগঠনসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি ইফতার কর্মসূচি দেয়। কিন্তু ইফতারের পরে নামাজের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ছাত্রী এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, মেয়েদের নামাজের স্থান নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা গত সপ্তাহে ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপি দিই। ভিসি স্যারের মৌখিক সম্মতি পেলেও প্রশাসনের দিক থেকে পজিটিভ কোনো স্টেপ না নেওয়ায় আমরা আজ ছেলেদের নামাজের স্থানের পশ্চিম পাশে যে জায়গা ফাঁকা ছিল সেখানে পর্দা দিয়ে ঘিরে নামাজের ব্যবস্থা করেছি, এবং যোহরের নামাজ আদায় করেছি। প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ১০ দিনের মধ্যে নামাজের স্থায়ী স্থান দেওয়া হবে এ প্রত্যাশা রাখি।

টিএসসির উপদেষ্টা ড. শিকদার মনোয়ার মুর্শেদ বলেন, তারা (ছাত্রীরা) নিয়মের বাইরে গিয়ে জায়গা নির্ধারণ করে বসেছে। আমরা তাদের অফিসিয়াল প্রসেসের জন্য ১০ দিনের সময় চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শুনছে না।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে টিএসসিতে নামাজের স্থান বরাদ্দের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী। টিএসসিতে ছেলেদের নামাজের স্থানের পাশে উপযুক্ত একটি খালি জায়গায় সামান্য সংস্কারের মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা সম্ভব বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।