সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে ‘চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স’

চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স এর উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে প্রায় ৫০ জন শিশুর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় এলাকার বিশিষ্টজন এবং চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষা উপকরণ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, প্রায় অর্ধশত শিশুকে তিন মাসের খাতা, কলম, রাবার, স্কেল, পেন্সিল কাটার, পেন্সিল বক্স, রং পেন্সিল, মাস্ক ও চকলেট বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশান পাড়া, শান্তি পাড়া, পলাশ পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, বেলগাছি এলাকার অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে এসব জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা উপকরণ পেয়ে খুশি শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। উপকরণ পাওয়া সাদিয়া আক্তারের বাবা লতিফ সরদার বলেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা একেবারে ঝিমিয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় খাতা-কলম ও পেন্সিল পাওয়ায় খুব উপকার হয়েছে।

কয়েকদিন ওরা খাতা কলম ও পেন্সিল নিয়ে অন্তত কিছু লেখালেখি ও আকাবুকির চেষ্টা করতে পারবে। শিক্ষা উপকরণ দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্সকে সাধুবাদ জানান এই অভিভাবক।

চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স এর প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আসলাম অর্ক বলেন, ‘মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এবং পিছিয়ে পড়া শিশুদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের এ ছোট প্রয়াস। করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব শিশুরা যাতে ভালভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমাদের এই অনবদ্য আয়োজন ।’

তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার, মিসকিন দের আর্থিক সহায়তায়, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, করোনায় ১০ কেজি চাল প্রজেক্ট, মু মুর্ষ রোগীদের রক্তদানে সহযোগীতা, অসহায় রোগীর চিকিৎসা প্রদান সহ সামাজিক উন্নয়নে নানা কাজ করে চলেছে চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, অনবদ্য এ আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স সদস্য ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ডা. ইমরান হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আল মাসতুর, নারী উদ্যেক্তা সাবরিনা জামান মিম, মাসুদ পারভেজ সহ আরো অনেকে।