বিমানবন্দর সড়কে শ্রাবণের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-রাস্তা অবরোধ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও এয়ারপোর্টের মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে রাজধানী খিলক্ষেত থানার পাশে(এরায়পোর্ট মেইনরোডে) টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও পিকেটিং করা হয়। এই সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি সংসদের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, কোন হামলা মামলা দিয়ে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা। তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আমরা এদেশে সুশাসন এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো।

সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজিদ হাসান বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই, তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে চাই না। শীঘ্রই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার তাদের অপশাসন ও অত্যাচারে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি কামরুজ্জামান আসাদ, ঝলক মিয়া, মুতাছিম বিল্লাহ্, আলমগীর কবির, মেহেরাব মাহি, সুরুজ মন্ডল, আলী হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক জহির রায়হান আহমেদ, মারজান, মশিউর মামুন, মোঃ হাসান খায়রুল ইসলাম সুজন, লিটন খান, আরিফুল ইসলাম, খোরশেদ লোকমান, কৃষিবিদ সোহরাব সুজন, মৌসুমি মৌ, সহসাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল, মাহফুজ, পিংকন, অর্থ সম্পাদক রিয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক মামুন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক বাপ্পি, বৃত্তি ও ছাত্র কল্যান সম্পাদক আরিফ, সহ প্রকাশনা সম্পাদক সাজিদ সহ শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিল।

এদিকে অবরোধের তৃতীয় দিনে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শেখ আল ফয়সল এর নেতৃত্বে ধানমন্ডি-২৭ এ সড়কপথ অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।

শেখ আল ফয়সল বলেন,ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছে, ৯০ এর মত ২০২৩ সালেও এই ছাত্রসমাজ রাজপথে মোকাবেলা করবে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এই দেশে। তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে, হত্যা করে, দমন-নিপীড়ন করে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। এবার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেই নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মিনার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বজন মাহমুদ, ফিরোজ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের শামীম মন্ডল সহ অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ।

গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল ও জোট অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা ও সমর্থন করেছে।