চবিতে ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী’ কর্ণার করার দাবি ছাত্রলীগ সভাপতির
চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জননন্দিত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে একটি কর্ণার করার দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যক্তিগত টাইমলাইনে এ দাবি জানিয়ে একটি পোস্ট করেন৷ এতে অনেকেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কর্ণার করার দাবি জানান রুবেল।
পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
গত কিছুদিন আগে রাউজান একটি মেজবান খেতে গেলে এক প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার সাথে দেখা হয়েছিলো। উনি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিভিন্ন আত্নত্যাগের কথা বলতেছিলেন। উনি বলেছিলেন, দলের দুঃসময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কেউ মেজবানের দাওয়াত দিতে আসলে উনি বলতেন আমাকে একা দাওয়াত দিলে হবেনা, আমাদের ২০/২৫ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। এই ২০/২৫ জন ছিলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের জামায়াত শিবিরের দ্বারা নির্যাতিত, মামলা ও হামলার শিকার নেতা কর্মীরা। এই সেই মহিউদ্দিন চৌধুরী। যিনি আওয়ামীলীগ এর পোস্টার লাগানোর জন্য পাগলের বেশ ধরেছিলেন কখনো বা অন্য কোনো ছদ্মবেশ। তিনিই মহিউদ্দিন চৌধুরী যিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তার নেতা কর্মীদের খাওয়ানোর জন্য বাবুর্চির চাকরি করেছেন, তিনিই মহিউদ্দিন চৌধুরী যিনি চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর পাকা করেছেন। তার সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ওই প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আরো বলেন, ব্যারিস্টার নওফেল শুধু এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান নয়, শাহেদা মহিউদ্দিনেরও সন্তান। যিনি এই আওয়ামীলীগ এর জন্য জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ব্যারিস্টার নওফেল হারিয়েছেন শিশুকালে তার মাকে, যিনি বঞ্চিত হয়েছেন মাতৃত্বের অকৃত্রিম মহব্বত এবং ভালোবাসার থেকে। এই নওফেলের মূল্যায়ন করা এতো সহজ কথা না। যারা নওফেলের বিরদ্ধে কথা বলে তারা প্রকৃত আওয়ামীলীগ না কিংবা আওয়ামীলীগ এর প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে তারা জানেনা। তিনি আরো বলেন, এই নওফেলকে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নে প্রয়োজন। এই নওফেলদের কাছেই বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিরাপদ। যারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাখবে নিজের জীবন বাজী।
এই সিংহ পুরুষ প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতি, কর্ম, আত্মত্যাগ, সাহসিকতা এবং গৌরবগাঁথা ইতিহাস ধরে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য৷ তারই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার এর পাশাপাশি বীর চট্টলার এই কিংবদন্তি , মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতি এবং সাহসিকতাকে ধরে রাখার জন্য, মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্ণার রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি। যেখান থেকে আগামী প্রজন্ম জানবে কে এই মহিউদ্দিন চৌধুরী, বীর চট্টলা এবং বাংলাদেশের জন্য কি তার অবধান৷
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস ছড়িয়ে পড়ুক জন থেকে জনে, মন থেকে মনে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে৷চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, বীর চট্টলার, বীর মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্ণার চাই।
এ ব্যাপারে রেজাউল হক রুবেল বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্ণার সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং আধুনিক চট্টলার রুপকার, কিংবদন্তী সিংহপুরুষ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ধারণ করা যেমনি গর্বের, তেমনি নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুনজরে আনার অনুরোধ করছি ।