সিনহা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান শিপ্রা
কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছেন অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে ‘ডকুমেন্টারি’ নির্মাণে থাকা শিপ্রা দেবনাথ।
আলোচিত এই মামলার রায়ের আগে এক প্রতিক্রিয়ায় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থী বলেন, আইনে যা আছে, সেই অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তিটাই হবে- এটাই আমি চাইব।
তিনি বলেন, বিচারে যে কোনো কিছু হতে পারে। এখানে আমার ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির আর কিছু নাই।
‘জাস্ট গো’ শিরোনামে ভ্রমণ বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি বানাতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সঙ্গে কক্সবাজারের হিমছড়িতে গিয়েছিলেন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা। এই টিমের অপর দুই সদস্য ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং তাহসিন রিফাত নূর।
প্রায় একমাস কাজ করার পর ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।
গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।
দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হবে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়।