রাখালের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ঢাবি শিক্ষক ড. শিমুল হালদার
মেধাবী শিক্ষার্থী রাখাল চন্দ্র রায়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল হালদার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়া দরিদ্র পরিবারের রাখাল চন্দ্র রায়কে গতকাল রোববার রাতে তিনি ফোন করে তার পড়াশুনার দায়িত্ব নেন।
রাখাল চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম ভেলাবাড়ি গ্রামের বর্গাচাষি উকিল চন্দ্র রায় ও সুমিত্রা রানী রায়ের ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় তার অবস্থান ৫৫০।
গতকাল দ্য ডেইলি স্টার বাংলা অনলাইনে মেধাবী শিক্ষার্থী রাখাল চন্দ্র রায়কে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে ঢাবি শিক্ষক ড. শিমুল হালদারের। পরে তিনি রাখাল চন্দ্র রায় ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঢাবি শিক্ষক ড. শিমুল হালদার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি রাখাল চন্দ্র রায়ের লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। রাখালের ভর্তি হওয়া, থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার খরচ বহন করবো।’
‘দরিদ্রতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশুনা হবে না তা হতে পারে না। আমি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে তৎক্ষণাৎ এই সিদ্ধান্ত নিই,’ যোগ করেন ড. শিমুল হালদার।
রাখাল চন্দ্র রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমার পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্যার আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে আমার পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।’
রাখালের বাবা বর্গাচাষি উকিল চন্দ্র রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মহানুভবতা আমাদের সন্তানের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। আমি কোনভাবেই ছেলের ভর্তিসহ অন্যান্য খরচ যোগাড় করতে পারছিলাম না। আমরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।’
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের ঋণ আমরা কোনদিনই শোধ করতে পারবো না,’ উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, ‘আমাদের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে।’