জিপিএ ৫ পেয়েছেন একই পরিবারে তিন বোন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি পরিবারের তিন বোন এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছে।
এই তিন মেধাবী শিক্ষার্থী হলো লাবন্য, প্রীতি ও মেধা। তারা তিনজনই সম্পর্কে চাচাতো বোন। তিনজনই পৌরশহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী। তাদের এ গৌরবোজ্জল সাফল্যে অভিভাবক, শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত আনন্দিত।
ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছে এ তিন মেধাবী শিক্ষার্থী। তাদের এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবার, এলাকাবাসীর মুখ উজ্জল করার পাশাপাশি দেশের কল্যাণে কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষক সুশীল সমাজের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রাম এলাকার শিক্ষিত ও সুশীল পরিবার হিসেবে পরিচিত খান পরিবার। খান পরিবারের প্রতিটি সদস্যই শিক্ষাদিক্ষায় অগ্রগামী। খান পরিবারের ৮ ভাইয়ের মধ্যে ব্যাংকার, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের চাকুরীজীবি। ৮ ভাইয়ের ৭ জনের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। একজন্য স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত। শিক্ষা সচেতন পরিবার হিসেবে বহু কাল আগে থেকেই এলাকায় তাদেগর সুনাম রয়েছে। তাদের সন্তানেরাও সেই ধারাবাহিকতা ও পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করছে।
খান পরিবারের সাবেক ব্যাংকার কামাল আহম্মেদ খানের মেয়ে লাবন্য, সাংবাদিক বাদল আহাম্মেদ খানের মেয়ে প্রীতি এবং প্রভাষক জাবেদ আহম্মদ খানের মেয়ের মেধা ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তিনজনের মা-ই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
জানতে চাইলে সাংবাদিক বাদল আহাম্মদ খান বলেন, এ ফলাফলের জন্য প্রথম কৃতিত্ব আমার মেয়ের। সে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করেছে। তারপর তার মা নিজে স্কুল শিক্ষক হওয়ায় মেয়ের পড়ালেখার ব্যাপারে সবসময় গাইড করেছে। সর্বোপরি শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান।
এ ব্যপারে দেবগ্রাম এলাকার পৌর কাউন্সিলর বাবুল মিয়া বলেন, খান পরিবার একটি শিক্ষিত পরিবার। তারা বহুকাল আগেই থেকেই শিক্ষাদিক্ষার প্রতি খুব সচেতন। আমি তাদের পরিবারের সাফল্য কামনা করি।
জানতে চাইলে দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয় থেকে ১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে খান বাড়ির ৩ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের সচেতনতা এবং ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহের কারণেই ফলাফল ভালো হয়েছে। বিশেষ করে খান বাড়ির অভিভাবকরাও খুবই সচেতন। তাদের ছেলেমেয়েরাও পড়ালেখা ভালো। সেজন্য তারা ভালো ফলাফল করেছে।