অন্ধকারে ছিলেন না শাবিপ্রবি ভিসি

বাসভবনের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করা হলেও অন্ধকারে ছিলেন না শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বিদ্যুত ও পানির জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় রাত পার করেছেন তিনি। গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে ভিসির বাসভবনের জরুরি পরিষেবাগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকেই জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসার লাইনগুলো কেটে দেয়ার পর জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। পানির সমস্যাও পড়তে হয়নি তাকে। তবে জেনারেটরের তেল আজকের মধ্যে পুরিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এরপর ভিসি সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে জরুরি পরিষেবাগুলোর লাইন বিচ্ছিন্ন করার পরও থেকে ভিসি কার্যালয়ে সাংবাদিক এবং পুলিশ ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। জরুরি পরিষেবাগুলো বিচ্ছিন্ন করায় নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও আওয়ামী লীগ।

১৩ জানুয়ারি রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্ররাও এতে অংশ নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। তখন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। পরের দিন ভিসি আইসিটি ভবনে গেলে তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেণেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসেন ২৩ শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন।